মক্কা মুয়াজ্জামার প্রথম যুগে যখন কিছু ওহী অবতরন বন্ধ ছিল, তখন রাসুল (সাঃ) অত্যান্ত অস্থির হয়ে পড়েছিলেন, তিনি এতো টা অস্থির হয়ে ছিলেন, যেন তাঁর কাছে মনে হচ্ছিল, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। সব কিছু কেমন যেন আমাকে গ্রাস করে আছে।
বার বার আপনার মনে একটি আশঙ্কা উদয় হচ্ছিল হয়তো আমার কোন ভুল হয়ে গিয়েছে, যার জন্য আল্লাহ্ আমার উপর নারায হয়ে আছেন, এবং তাকে পরিত্যাগ করেছেন।
ঠিক তখনি যেন আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর জন্য উপহার স্বরূপ এই সূরা টি অবতীর্ন করেন। এবং শেষে জানিয়ে দেন, কেন তিনি ক্রমাগত ভাবে তখন ওহী নাজিল করেন নি।
ওয়াদ দুহা, ওয়াল লাইলি ইযা সাজা – উজ্জ্বল দিনের কসম! এবং রাতের কসম! যখন টা নিঝুম হয়ে যায়।
মা ওয়াদ্দা আঁকা রাব্বুকা ওয়ামা কলা – তোমার রব তোমাকে কখনো পরিত্যাগ করেন নি, এবং তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট হন নি।
ওয়ালাল আখিরাতু খাইরুল লাকা মিনাল উলা – নিশ্চয় তোমার জন্য পরবর্তি যুগ পূর্ববতী যুগের চেয়ে ভাল।
ওয়ালা সাউফা ইউতিকা রাব্বুকা ফাতার দ – আর শীঘ্রই তোমার রব তোমাকে এতো দিবেন যে, তুমি খুশি হয়ে যাবে।
আলাম ইয়াজিদকা ইয়াতিমাং ফা আওয়া – তিনি কি তোমাকে এতীম হিসেবে পান নি? তারপর তোমাকে আশ্রয় দেন নি?
ওয়া ওয়া জাদাকা দল্লাং ফাহাদা – তিনি তোমাকে পথ না পাওয়া অবস্থায় পান, তারপর তিনি পথ দেখান।
ওয়া ওয়া জাদাকা আ ইলাং ফা আগ্না – তিনি তোমাকে নিঃস্ব অবস্থায় পান, তারপর তোমাকে ধনী করেন।
ফা আম্মাল ইয়াতিমা ফালা তাক হার, ওয়া আম্মাস সা ইলা ফালা তানহার, ওয়া আম্মা বিনি মাতি রাব্বিকা ফাহাদ্দিস – কাজেই, এতীমের প্রতি কঠোর হয়োনা, সাহায্য প্রার্থনাকারীকে তিরস্কার করোনা, আর নিজের রবের নিয়ামত প্রকাশ কর।
হে আল্লার রাসুল আপনার রাব আপনাকে এই পৃথিবীর বুকে একাকী করে দিয়েছিলেন, যাতে তিনি একমাত্র তিনি তাঁর পবিত্র ভালবাসা আর মমতায়, আপনাকে লালন – পালন করতে পারেন।
এবং কি অপূর্ব সেই ভালবাসা, কি অপরুপ সেই প্রতিপালন।